আমার কম্পিউটার স্লো হয়ে গেছে? কি করব?

ধীরগতিতে কাজ করছে কম্পিউটার?

 ‘পিসি স্লো’!?  নিত্য ব্যবহারে বেশি পরিমাণে টেম্পোরারি ও জাংক ফাইল জমা হওয়াসহ ভাইরাসের কারণেও কম্পিউটার ধীরগতির হতে পারে। তবে, আপনি চাইলে ঘরে বসেই সাধারণ কিছু টিপস  অনুসরণ করে আপনার কম্পিউটারকে দ্রুতগতির করতে পারেন।


টেম্পোরারি ফাইল অপসারণ
বিভিন্ন কাজ করার সময় কম্পিউটার তার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ফাইলের অনুলিপি তৈরি করে নেয়, যা আর পরে কোনো কাজে না লাগলেও থেকে যায় নির্ধারিত জায়গাতেই। এসবই ‘টেম্পোরারি ফাইল’। টেম্পোরারি ফাইল মুছতে কীবোর্ডের উইন্ডোজ এবং ‘R’ বাটন একসাথে চাপুন। রান উইন্ডো এলে টাইপ করুন ‘temp’, এরপর Enter চাপুন। নতুন উইন্ডোতে টেম্পোরারি ফাইলগুলো প্রদর্শিত হলে ‘ctrl’ এবং ‘A’ একসাথে চেপে সব সিলেক্ট করুন। ‘Delete’ বাটন প্রেস করুন। মুছে ফেলা হবে কি না জানতে চাইলে ‘Continue’ দিন। কোনো ফাইল চালু অবস্থায় থাকলে তা অপসারণ করা যাবে না জানিয়ে বার্তা এলে ‘Skip’ বাটন প্রেস করুন।

হিডেন টেম্পোরারি ফাইল অপসারণ

টেম্পোরারি ফাইলের মতোই ‘হিডেন টেম্পোরারি ফাইল’। হিডেন টেম্পোরারি ফাইল মুছতে কীবোর্ডের উইন্ডোজ এবং ‘R’ বাটন একসাথে চাপুন। রান উইন্ডো এলে ‘%temp%’ টাইপ করুন ও ‘Enter’ চাপুন। নতুন উইন্ডোতে টেম্পোরারি ফাইলগুলো প্রদর্শিত হলে ‘ctrl’ এবং ‘A’ একসাথে চেপে সব সিলেক্ট করুন। ‘Delete’ বাটন প্রেস করুন। মুছে ফেলা হবে কি না জানতে চাইলে ‘Continue’ দিন। কোনো ফাইল চালু অবস্থায় থাকলে তা অপসারণ করা যাবে না জানিয়ে বার্তা এলে ‘Skip’ বাটন প্রেস করুন।

প্রিফেচড ফাইল অপসারণ

‘প্রিফেচড ফাইল’গুলোও কোনো কাজে না লাগলেও কম্পিউটারে থেকে যায়। এই ফাইলগুলো মুছতে কীবোর্ডের উইন্ডোজ এবং ‘R’ বাটন একসাথে চাপুন। রান উইন্ডো এলে ‘prefetch’ টাইপ করুন ও ‘Enter’ চাপুন। নতুন উইন্ডোতে টেম্পোরারি ফাইলগুলো প্রদর্শিত হলে ‘ctrl’ এবং ‘A’ একসাথে চেপে সব সিলেক্ট করুন। ‘Delete’ বাটন প্রেস করুন। মুছে ফেলা হবে কি না জানতে চাইলে ‘Continue’ দিন। কোনো ফাইল চালু অবস্থায় থাকলে তা অপসারণ করা যাবে না জানিয়ে বার্তা এলে ‘Skip’ বাটন প্রেস করুন।

রিসেন্ট ফাইল অপসারণ

সর্বশেষ সম্পাদিত কাজই ‘রিসেন্ট ফাইল’। রিসেন্ট ফাইল মুছতে কীবোর্ডের উইন্ডোজ এবং ‘R’ বাটন একসাথে চাপুন। রান উইন্ডো এলে ‘recent’ টাইপ করুন ও ‘Enter’ চাপুন। নতুন উইন্ডোতে টেম্পোরারি ফাইলগুলো প্রদর্শিত হলে ‘ctrl’ এবং ‘A’ একসাথে চেপে সব সিলেক্ট করুন। ‘Delete’ বাটন প্রেস করুন। মুছে ফেলা হবে কি না জানতে চাইলে ‘Continue’ দিন। কোনো ফাইল চালু অবস্থায় থাকলে তা অপসারণ করা যাবে না জানিয়ে বার্তা এলে ‘Skip’ বাটন প্রেস করুন।

অপ্রয়োজনীয় ফাইল অপসারণ হয়ে গেছে, এবার কম্পাইলেশনের পালা। কম্পিউটারের বিন্যাসগুলো সাজিয়ে নেয়ার নামই ‘কম্পাইলেশন’। শুনতে একটু খটমট লাগলেও এটি করতে বড়জোর কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে।

কম্পাইলেশন

কীবোর্ডের উইন্ডোজ এবং ‘R’ বাটন একসাথে চাপুন। রান উইন্ডো এলে টাইপ করুন ‘tree’ এবং ‘Enter’ প্রেস করুন। এই পদ্ধতিতে দুই থেকে তিনবার ট্রি রান করান, এবার ডেস্কটপ থেকে রিসাইকেল বিন খালি করে রিস্টার্ট দিয়ে দেখুন তো কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ছে কি না?


Credit: Ntv blog

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url